অলিভ অয়েল/জলপাই তেল/যয়তুনের তেল
যায়তুন একটি বরকতয় ফল। কেননা, আল্লাহ তাআলা সূরা তীন এ যায়তুন এর কসম খেয়েছেন। আল্লার রাসূল সা. এর তেল খেতে ও মালিশ করতে বলেছেন। তিনি বলেন: “তোমরা যায়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখ। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে।” [তিরমিযী, আহমদ, ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন]এক চামচ অলিভ অয়েলে রয়েছে—
• ১১৯ ক্যালোরি
• ১৩ গ্রাম ফ্যাট
• ১.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই
• ৮.১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে
• কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও প্রোটিন এতে একেবারেই নেই।
গবেষকরা দেখিয়েছেন:
খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় ।
জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো।
শরীরের এসিড কমায়
যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়।
কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।
গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ঠোঁটে এক ফোঁটা অলিভ ওয়েল আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে এবং যাদের ঠোঁটে কালচে ভাব আছে আস্তে আস্তে সেই কালচে ভাবও দূর হয়ে যাবে।
অলিভওয়েলের সঙ্গে চিনি বা লবণ মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে এটি ভালো স্ক্রাবারের কাজ করে।
অলিভ অয়েলের আরও অনেক ব্যবহার আছে।
ময়েশ্চারাইজ়ার
স্নানের জলে বড়ো টেবিলচামচের পাঁচ-ছ’ চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ফেলে দিন। স্নান করার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে গা মুছে নিন। দিনভর ত্বক তুলতুলে থাকবে।
ফুসকুড়ির সমাধানে
চুলকানিসহ ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের ক্ষমতা বহু আগে থেকে প্রমাণিত। এক কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, এক কাপ নারকেল তেল ও চার টেবিল চামচ মোম গরম পানিতে নিন। এরপর এতে যোগ করুন আট ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল, ছয় ফোঁটা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল, চার ফোঁটা চা পাতার এসেনশিয়াল অয়েল। এরপর সবকিছু গলে গেলে তা মলম হিসেবে জারে সংরক্ষণ করুন।
নাক ডাকা বন্ধ করতে
অলিভ অয়েল নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চুমুক অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। এটি আপনার গলার পেশীকে পিচ্ছিল করে থাকে এবং নাক ডাকা বন্ধ করে দেয়।
শিশুদের ত্বকের যত্নে
জলপাই তেল ত্বকের যত্নে ভালো কাজ করে। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। শিশুদের নিতম্ব থেকে র্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন। এছাড়া যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তারা নির্দ্বিধায় এ তেল মাসাজ করতে পারেন। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক, ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে।
ঠোঁটের স্ক্রাব হিসেবে
অলিভ অয়েল দিয়েই তৈরি করে নিন আপনার ঘরোয়া লিপস্ক্রাব। আপনার দরকার শুধু এক টেবিলচামচ চিনি, এক চামচ অলিভ অয়েল আর কয়েকফোঁটা লেবুর রস। ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুন, সব মৃত কোষ উঠে গিয়ে ঠোঁট সতেজ আর কোমল হয়ে উঠবে।
সানবার্ন প্রতিরোধে
রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে অলিভ অয়েলের টোটকা ভীষণ কাজের। আধকাপের একটু বেশি পরিমাণে অলিভ অয়েল নিয়ে তার সঙ্গে সিকিকাপ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। রোদে পোড়া জায়গাগুলোয় দিনে তিন থেকে চারবার লাগান, আরাম পাবেন দ্রুত।
ব্রণ প্রতিরোধক
শুনে হয়ত অবাক হবেন ব্রণের চিকিৎসায় তেলের ব্যবহার। কিন্তু অলিভ অয়েল ব্রণের বংশ ধ্বংস করার জন্য উপকারী। ৪ টেবিল চামচ লবণের সাথে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট ২ মিনিট ধরে মুখে মাসাজ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ করুন। অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
Reviews
There are no reviews yet.