মধুঃ
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ৷ মধুতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ আমাদের শরীরে তৎক্ষনাৎ এনার্জি যোগায় ৷ এছাড়া মধুতে রেয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি ।
মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাঃ
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি বৃদ্ধি, সর্দি-জ্বর উপশম, কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরীকরণ, ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন নিরাময়, শরীরের ওজন কমানো, রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানো, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
– মধু খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চা-চামচ মধু খাওয়া।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক RAW মধুর বৈশিষ্ট্যঃ
দেখতে সাধারণত Light Amber রঙের হয় (তবে সময় ও ফুল ভেদে কিছুটা Light বা Dark হতে পারে)।
খেতে খুবই সুস্বাদু।
কিছু মানুষের কাছে- সুন্দরবনের মধু অনেকটা আখের রসের মতো লাগে।
মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হবে (আমরা কখনই সুন্দরবনে ঘন মধু পাইনি)।
সুন্দরবনের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে কারণ কাঁচা মধু ঝাঁকির ফলে মধু তে গ্যাস উৎপন্ন হয় যেটা প্রসেস মধুতে হয় না।
সুন্দরবনের খাটি মধু আমরা কখনই জমতে দেখনি।
এই মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- হাতে চাক কাটা পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা মধুর উপরে খয়রি রঙের পোলেন জমা হয়। এটাকে অনেকে গাদ জমা বলে থাকেন।
কেন আমাদের তোহফার মধু নিবেন?
কারণঃ– সুন্দরবনে সাধারণত দুই ধরনের মধু পাওয়া যায়, যথা:- সুন্দরবনের বাক্সের মধু এবং সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু। আমাদের কাছে দুটি মধুই আছে তবে এটি হচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু। প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে। সুন্দরবনের মধুতে খলিসা ও গরান ফুলের নির্যাস বেশি থাকে। এই মধু পাতলা এবং সুস্বাদু হয়। এছাড়াও, আমাদের মধু নিজস্ব মৌয়াল দ্বারা স্বাস্থ্যকর উপায়ে সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই আপনি নিরাপদে আমাদের মধু খেতে পারেন। সুন্দরবনের মধু হল উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন এবং আসল ফুডের খাদ্য আইটেমগুলির মধ্যে একটি, যা আপনাকে সর্বোচ্চ গুণগতমান এবং বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। সুন্দরবনের মধু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য মহান স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রাকৃতিক নিরাময়মূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে কারণ মধুতে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে।
Raw Honey এবং Processing Honey কাকে বলে?
মৌমাছি যে মধু তৈরি করে মৌচাকে জমা করে, সেই মধুই হচ্ছে কাঁচা মধু বা Raw হানি’। সেটা গ্রাম গঞ্জের হাতে চাক কাটা মধু হোক বা বাক্সের ভেতরে পোষা মৌমাছি দিয়ে উৎপাদিত মধু হোক। এই দুই প্রকার মৌমাছিই যদি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, তাহলে এই দুই প্রকার মধুই ভালো মধু, খাঁটি মধু। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত মধু বা Processing Honey। কাঁচা মধু এবং প্রক্রিয়াজাত মধু , এই দুই মধুর মধ্যে স্পষ্ট অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত করা হয় মধু গরম করার মাধ্যমে। আর মধু গরম করলে মধুর অনেক উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের Raw Honey বা কাঁচা মধু খাওয়ার জন্য।
সুন্দরবনের মধু কখন এবং কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?
ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের মধু বছরের বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করা গেলেও ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস এর জন্য উৎকৃষ্ট সময়। এই সময়ে সুন্দরবনে অনেক প্রকার ফুল ফুটতে দেখা যায়। প্রকৃতিতে অনেক প্রকার ফুল থাকলেও মৌমাছি প্রধান চারটি ফুল থেকে উল্লেখযোগ্য মধু সংগ্রহ করে। আর তাহলো- খলিশা, গড়ান, কেওড়া ও বাইন। মৌমাছি এই সময়ে সুন্দরবন থেকে যে মধু সংগ্রহ করে, আমরা তাকেই সুন্দরবনের মধু বলে থাকি।
Reviews
There are no reviews yet.